মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পরে দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। এসবের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান কিরন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ছাত্র গণঅভ্যুথানে শহীদ ছাত্রদের স্বজনদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালুর ধানুকার বাসভবনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান কিরন বলেন, যে মা তার সন্তান হারিয়েছে, সে বুঝে সন্তান হারানোর বেদনা কী? সে মায়ের বেদনা, কষ্ট আমরা নষ্ট হতে দেব না। ছাত্র গণঅভ্যুথানে এদেশের মানুষ এখন আলো বাতাস গ্রহণ করতে পারছে। এই শহীদদের রক্তের সঙ্গে কাউকে বেইমানি করতে দেব না।
তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য কেউ যদি কারও বাড়ি লুট করেন, হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা করেন, জুলুম-নির্যাতন করে জায়গা-জমি দখল করেন, হাট-বাজার দখল করেন, চাঁদাবাজি করেন তাহলে আমি শফিকুর রহমান কিরনসহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু তা প্রতিহত করব। এই শরীয়তপুরের মাটিতে এসব চলবে না। এসব আমরা দুইজন সহ্য করব না। এই মেসেজ আপনারা সমস্ত শরীয়তপুরে পৌঁছে দিবেন।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু পরিবারের ওপর যদি কোনো নির্যাতন হয়, কোনো মন্দিরে যদি আঘাত করা হয়, কারো জমি-জমা যদি বিনষ্ট করা হয়, কোথাও যদি চাঁদাবাজি, লুট করা হয় তবে তারেক রহমানের নির্দেশ, এসব ব্যক্তিদেরকে সমস্ত সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এসবের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত হয়, তাহলে আপনারা তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন।
সাবেক এই সাংসদ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল, শুনেছি এমন কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির স্লোগান তুলে হামলার পরিকল্পনা করতেছে। সাবধান করে দিতে চাই, যেখানে ছিলেন, সেখানে থাকেন। কোনো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না। আপনারা যারা চাঁদা বাজির স্বপ্ন দেখতেছেন, সাবধান করে দিতে চাই। শরীয়তপুরের মাটিতে চাঁদাবাজির জায়গা নেই।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরন ভোজেশ্বর কালি মন্দির পরিদর্শনসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালুর বাসভবনে আসেন। এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।